ব্লু কাট চশমা চেনার উপায়- ব্লু কাট চশমার উপকারিতা ও অপকারিতা

ব্লু কাট চশমা চেনার সহজ ও সবচেয়ে ভালো উপায় সম্পর্কে জেনে নিন। এবং সেই সাথে থাকছে ব্লু কাট লেন্স/চশমার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিই ব্লু কাট লেন্স সম্পর্কে সকল জানা অজানা প্রশ্নোত্তর।
আমাদের শরীরের অন্যতম প্রধান অঙ্গ হচ্ছে চোখ। এই পৃথিবী যে কত সুন্দর, স্রষ্টার সৃষ্টি যে কত সুন্দর তা আমরা চোখ দিয়ে দেখার ফলেই বুঝতে পারি। একজন অন্ধই জানেন চোখের কি মর্ম! অন্ধের কাছে পৃথিবীর সব রঙ ই অন্ধকার কালো। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই চোখ ভালো রাখার বিষয়ে ধারণা থাকা জরুরি। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ 

ব্লু কাট চশমা চেনার উপায়

কম্পিউটার ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোন থেকে নির্গত ব্লু লাইট বা ব্লু রশ্মি থেকে চোখকে সুরক্ষিত রাখতে আমরা ব্লু কাট চশমা ব্যবহার করে থাকি। তবে ব্লু কাট চশমা নিয়ে আমদের মনের ভিতরে নানা ধরনের প্রশ্ন ঘুরে বেড়ায়। যেমন অরিজিনাল ব্লু কাট চশমা চিনবো কিভাবে?কোথা থেকে কিনলে ভালো ব্লু কাট চশমা কিনতে পারবো আরও অনেক কিছু।আজকে আপনাদের সকল কনফিউশন দূর করে দেওয়ার চেষ্টা করবো।

ব্লু কাট চশমা কেনার আগে অবশ্যই আপনার ব্লু কাট চশমা সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। তারপর যাচাই বাছাই করে দেখে অরিজিনাল চশমা নিতে হবে। তাছাড়া আপনার ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। আজকাল ব্লু কাট চশমার নামে নরমাল গ্লাসের চশমা গ্রাহকের হাত ধরিয়ে দিচ্ছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। আপনার এলাকার স্থানীয় দোকান থেকে আপনি ব্লু কাট চশমা কিনতে পারেন।
কেনার সময় দোকানদারের কাছ থেকে ব্লু লাইট লেজার দিয়ে চশমা পরীক্ষা করে নিবেন। ধরেন আপনার এলাকায় ব্লু কাট চশমার শপ নাই তাহলে কি করবেন কোথা থেকে কিনবেন। যদি আপনার এলাকায় ব্লু কাট চশমার কোন দোকান না থাকে তাহলেও চিন্তার কোন কারণ নেই। এর জন্য রয়েছে বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্ম। যারা কি না ২৪ ঘণ্টাই গ্রাহকের সেবাই নিয়োজিত থাকেন এবং সারা বাংলাদেশ হোম ডেলিভারি দিয়ে থাকেন।
এখন হয়তো ভাবছেন অনলাইন শপ থেকে নিলে কিভাবে পরীক্ষা করে নিবো অরিজিনাল ব্লু কাট চশমা কি না। আপনি যদি অনলাইনে একটু ঘাটাঘাটি করেন তাহলে দেখবেন যেগুলো বড় বড় অনলাইন পেজ বা শপ তারা ক্রেতাদের ক্যাশ অন ডেলিভারি সুবিধা দিয়ে থাকেন। যার মানে হলো আপনি প্রোডাক্ট অর্ডার করে হাতে পাওয়ার পর প্রোডাক্ট চেক করে যদি ভালো লাগে তাহলে প্রোডাক্টের টাকা পরিশোধ করে নিতে পারেন।

আর আপনার যদি প্রোডাক্ট পছন্দ না হয় তাহলে শুধু ডেলিভারি চার্জ পরিশোধ করে প্রোডাক্ট ফেরত দিতে পারবেন। অনলাইন শপ থেকে ব্লু কাট চশমা কিনলে দেখবেন পরীক্ষা করে নেওয়ার জন্য ব্লু কাট চশমার সাথে একটি ব্লু লেজার লাইট দিয়ে দেয়। এই ব্লু লেজার লাইটের মাধ্যমে আপনি চশমাটি
পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন অরিজিনাল ব্লু কাট চশমা কি না।

আপনি দুইভাবে এই পরীক্ষাটি করে দেখতে পারেন। প্রথমত আপনাকে নীল লেজার লাইটটি অন করে ব্লু কাট চশমার গ্লাসের উপরে ধরতে হবে যদি দেখেন নীল রশ্মি গ্লাস ভেদ করে বেরিয়ে আসতেছে তাহলে বুঝে নিবেন এটি নকল ব্লু কাট চশমা। আর নীল আলোক রশ্মি যদি ব্লু কাট লেন্সটি ভেদ করতে না পারে তাহলে বুঝে নিবেন এটি অরিজিনাল ব্লু কাট লেন্স চশমা।

আপনি চাইলে আরো একভাবে পরীক্ষা করে নিতে পারেন। এটিও লেজার লাইটের মাধ্যমেই তবে এই পরীক্ষাটি করার জন্য লেজার লাইটের সাথে একটি টিস্যু পেপার বা সাদা কাগজের প্রয়োজন পড়বে। টিস্যু বা সাদা পরিষ্কার কাপড়ের উপর ব্লু কাট চশমার গ্লাসটি রেখে দিন। এরপর লেজার লাইটটি অন করে গ্লাসের উপর কিছুক্ষণ ধরে থাকুন।

কি দেখতে পেলেন টিস্যুর রঙ কি বদলেছে, সাদা কাপড়টি কি হালকা নীল বর্ণ ধারণ করেছে। যদি টিস্যু/কাপড়টি নীলচে ভাব না হয় তাহলে বুঝে নিবেন ঠিকঠাক রয়েছে। আর যদি নীলচে রঙ আসে তাহলে সেটি আসল ব্লু কাট চশমা না। এভাবে আপনি খুব সহজেই পরীক্ষা করে নিতে পারেন।

ব্লু কাট লেন্স-চশমার উপকারিতা

ডেস্কটপ ল্যাপটপ অথবা মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর নীল রশ্মি থেকে চোখ সুরক্ষিত রাখতে ব্লু কাট চশমার ব্যবহার দেখা যায়। এসব ডিভাইসের নীল আলো থেকে চোখকে সুরক্ষা দিতে গবেষক ও বিজ্ঞানীরা ২০০০ সাল থেকে ব্লু কাট চশমা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে আসছেন। এই চশমা ব্যবহারের ফলে ঘুম ভালো হয়ে থাকে এমনটা অনেকই দাবি করেন।

আধুনিক এই যুগে আমরা প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছি। ডিজিটাল ডিভাইস ছাড়া যেনো আমরা কোন কিছু কল্পনাই করতে পারি না। আমাদের জীবন অচল হয়ে পড়েছে ডিজিটাল ডিভাইস ছাড়া। বাসা কিংবা অফিস উভয় ক্ষেত্রেই ডিজিটাল ডিভাইস আমাদের যেনো আমাদের সাথে আঠার মতো লেগে থাকে। কোনভাবেই যেন পিছু ছাড়ে না।

আর এত বেশি ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের ফলে অকালেই আমরা চোখের জ্যোতি কমিয়ে ফেলছি। অনেক সময় নিদ্রাহীনতায় ভুগতে হয় মাথা ব্যাথা করে। এছাড়াও ল্যাপটপ বা স্মার্ট ফোনের ক্ষতিকর ব্লু লাইট আমাদের চোখের বিভিন্ন ক্ষতি করছে। যেমনঃ
  • চোখে ঝাপসা দেখা
  • চোখে ছানি পড়া
  • চোখ খচখচ করা
  • চোখের দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়া
  • চোখ দিয়ে পানি পড়া
আপনারা ইতোমধ্যে জেনে গেছেন কম্পিউটার স্ক্রিন ও মোবাইল ফোন থেকে এক ধরনের ব্লু লাইট বের হয়। যা আমাদের চোখের জন্য ক্ষতিকর। কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে একটানা এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকার কারণে চোখের পলক স্বাভাবিক গতির চাইতে দেরিতে পড়ে এতে করে ব্লু লাইট বা নীল আলো সরাসরি আমাদের চোখের ভিতরে প্রবেশ করে চোখের অনেক ক্ষতি করে।

বিশেষ করে যাদেরকে কম্পিউটারে বিভিন্ন কাজ করতে হয় এবং যারা অনেক বেশি ফোন ব্যবহার করেন তারা চোখকে সুরক্ষিত রাখতে ব্লু কাট চশমা ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে ক্ষতিকর নীল আলোকরশ্মি থেকে চোখকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। কেননা এই চশমা ব্যবহারের ফলে ব্লু লাইট বা নীল আলোকরশ্মি চশমা ভেদ করে চোখের ক্ষতি করতে পারে না।

ব্লু কাট চশমার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া-অপকারিতা

একটা কথা অনেককেই বলতে শুনেছি আমি, ব্লু কাট চশমা ব্যবহার করলে চোখের কি কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা রয়েছে। না ব্লু কাট চশমা ব্যবহারে চোখের কোন ক্ষতি হয় না। ব্লু ফিল্টারিং করা চশমা আপনার চোখকে সবসময় প্রোটেকশন করে। চোখকে নিরাপদ রাখে ও সুরক্ষিত রাখে।

তবে একটা কথা না বললেই নয়, যদি আপনাকে সব সময় ব্লু কাট চশমা ব্যবহার করতে হয় তাহলে চশমার ফ্রেমটি ভালো নেওয়ার চেষ্টা করবেন। কেন বলছি এই কথা কারণ অনেক সময় দেখা যায় সারাক্ষণ চশমা পড়ে থাকার ফলে চোখের নিচে কালো দাগ পড়তে পারে। তবে এর সম্ভাবনা খুবই সামান্য। ব্যক্তিভেদেও এরকমটা ঘটে থাকে।

ব্লু কাট চশমার দাম

আপনি যখনই ব্লু কাট চশমা কেনার কথা ভাবছেন নিশ্চয় তখন একটা প্রশ্ন আপনার মাথায় ঘোরপাক খাচ্ছে যে ব্লু কাট চশমার দাম কত তাই না। তাহলে চলুন এবার ব্লু কাট চশমার দাম জেনে নেওয়া যাক। বর্তমান বাজার মূল্যের সাথে ভবিষ্যৎ বাজার মূল্যের তারতম্য হয়। তাই আসলে একেবারে নিশ্চিত করে এর দাম বলা সম্ভব না।

তবে হ্যাঁ বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী ব্লু কাট লেন্স চশমা ৭০০-১৫০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। চশমা কেনার ক্ষেত্রে আরেকটি বড় বিষয় যেটি ম্যাটার করে সেটি হলো আপনি কি রকম ফ্রেম ব্যবহার করবেন। একেক ফ্রেম একেক রকম দামের হয়ে থাকে। আপনি যত দামি ফ্রেম ব্যবহার করবেন আপনার তত বেশি খরচ পড়বে। ২০০০ টাকার মধ্যে ভালো ফ্রেম সহ আপনি ব্লু কাট লেন্স চশমা পেয়ে যাবেন।

চশমার গ্লাসের প্রকারভেদ

কম বেশি আমাদের সকলের জীবনে এমন একটা সময় আসে যখন চশমা ছাড়া চলা মুশকিল হয়ে পড়ে। বৃদ্ধ বয়সে চোখের জ্যোতি অনেকটাই কমে যায়। দূরের জিনিস দেখা যায় না আবার কাছের জিনিস ও অস্পষ্ট দেখা যায়। অর্থাৎ আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে চোখের দৃষ্টি শক্তি কমতে থাকে। তাই ডাক্তারগণ চশমা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

চোখের ভিন্ন ভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে চশমার গ্লাস বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। প্রধানত চশমার গ্লাস ৩ ধরনের হয়ে থাকে।
  • হোয়াইট লেন্স
  • অটো লেন্স
  • হোয়াইট অ্যান্টি রিফ্লেক্টস
এই হলো চশমার গ্লাসের প্রকারভেদ। এছাড়াও চশমার গ্লাস আরো বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। সাধারণত চশমার গ্লাস কাজের উপর নির্ভর করে আরো কয়েকভাবে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমন-

প্রেসক্রাইবড চশমাঃ এই চশমা গুলো ডাক্তাররা প্রেসক্রাইব করে থাকেন। যাদের চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আছে তাদেরকে এই চশমা পড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। চারপাশে একটু তাকালে দেখবেন আমাদের মাঝে অনেকে আছে যারা কি না দূরের জিনিস ঠিক মতো দেখতে পায় না। আবার অনেকে কাছের জিনিস ঝাপসা দেখতে পায়।

খালি চোখে রোদে বের হলে চোখ জ্বালা করে, খালি চোখে টিভি দেখলে মাথা ব্যাথা করে। চোখের এ ধরনের সমস্যাজনিত কারণে চিকিৎসকগণ চশমা ব্যবহারের পরামর্শ দেন। চোখের সমস্যা অনুযায়ী বিভিন্ন পাওয়ার এর চশমার গ্লাস দেওয়া হয়ে থাকে। যাতে করে ওই ব্যক্তির চোখ নিয়ে বিড়ম্বনায় না পড়তে হয়।

পড়ার জন্য চশমাঃ কাছের কোন জিনিস বা বস্তু স্পষ্টভাবে দেখার জন্য পড়ার চশমা ব্যবহার করা হয়। কেননা অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা কাছের জিনিস ঝাপসা ঝাপসা দেখতে পান। এতে করে খালি চোখে পড়াশোনা করতে তাদের বেগ পেতে হয়। সে জন্য এই পড়ার চশমা ব্যবহার করতে পারেন তাহলে কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখতে পারবেন।

সানগ্লাসঃ প্রচণ্ড রোদে বাইরে বের হয়ে তাকানোটা যেন খুবই কষ্টসাধ্য। সূর্য্যের অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাবে রোদের সময় তাকাতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। সূর্য্যের এই অতি বেগুনি রশ্মি আমাদের চোখের বিভিন্ন ক্ষতিও করে থাকে। তাই এই রোদ থেকে এবং বেগুনি রশ্মি থেকে চোখকে সুরক্ষিত রাখতে সানগ্লাস ব্যবহার করা হয়। আবার অনেকেই ফ্যাশান হিসেবেও সানগ্লাস ব্যবহার করেন।

গেমিং চশমাঃ যারা সাধারণত মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারে প্রচুর পরিমাণে গেম খেলে তারা এই গেমিং চশমা ব্যবহার করে। এটি এমন একটি চশমা যা কম্পিউটার ও ফোনের স্ক্রিনের নীল আলোকে ফিল্টার করে চোখকে সুরক্ষা প্রদান করে। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত গেমিং করার ফলে চোখের বাড়তি প্রেসার ও চাপ কমাতে এই চশমা ব্যবহার করা হয়।

নাইট ভিশন চশমাঃ সাধারণত বাইকাররা নাইট ভিশন চশমা বেশি ব্যবহার করেন। রাতে বাইক চালানোর উপযোগী চশমা বলা হয় এই চশমাকে। সন্ধ্যার পরে বাইক চালানোর সময় পোকার উপদ্রব বেড়ে যায়। খালি চোখে বাইক চালালে অনেক পোকা এসে চোখে ঢুকে পড়ে এতে করে চোখে অসহ্য জ্বালা যন্ত্রণা করে। এমনকি চোখে হঠাত করে পোকা ঢুকে পড়ার কারণে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দূর্ঘটনা ঘটার ও সম্ভাবনা থাকে।

আবার দেখা যায় রাতে অপর পাশ থেকে আসা বড় ট্রাক বাসের লাইটের পাওয়ার এত বেশি থাকে যে তাদের লাইটের কারণে কিছুই দেখা যায় না। কিন্তু নাইট ভিশন চশমা ব্যবহারের ফলে অতিমাত্রার এই আলোগুলো চোখে তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারে না। নাইট ভিশন চশমা সামনে থেকে আসা আলোকে বাঁধাপ্রাপ্ত করে যাতে করে আমাদের দেখতে কোন সমস্যা না হয়। এর ফলে দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও কম থাকে।

নিরাপত্তা চশমাঃসাধারণত ল্যাবে চোখের সুরক্ষার জন্য নিরাপত্তা চশমা ব্যবহার করা হয়। গবেষণা কেন্দ্রে রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করা হয়। রাসায়নিক পদার্থ থেকে ক্ষতিকর রশ্মি বের হয় যা চোখের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই চোখকে সুরক্ষিত রাখতে নিরাপত্তা চশমা ব্যবহার করা হয়।

চশমা পরিষ্কার করার উপায়

দীর্ঘদিন ধরে চশমা ব্যবহার করার ফলে চশমার গ্লাসে তেল তেলে ভাব জমে যায়। চশমা ঝাপসা হয়ে যায়। তখন আর স্পষ্ট দেখা যায় না। তাই মাঝে মাঝে চশমার গ্লাস পরিষ্কার করত হয়। সঠিক নিয়মে কিভাবে চশমা পরিষ্কার করা যেতে পারে এই বিষয়ে আমাদের অনেকেরই অজানা। তাই নিচে কয়েকটি উপায় দেওয়া হলো-

মোবাইল স্ক্রিন পরিষ্কার করার জন্য বাজারে স্ক্রিন ক্লিনার পাওয়া যায়। স্ক্রিন ক্লিনার নরম সুতি কাপড়ে পরিমাণমতো নিয়ে হালকাভাবে গ্লাস ঘষে পরিষ্কার করতে পারেন। পানি এবং বেকিং পাউডার দিয়েও চশমার গ্লাস পরিষ্কার করতে পারেন। এজন্য আপনাকে প্রথমে সামান্য পরিমাণে বেকিং পাউডার ও পানি দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে।

তারপর ঐ পানি দিয়ে সুতি কাপড়ে ভিজিয়ে নিয়ে হালকাভাবে গ্লাস ঘষতে থাকুন লক্ষ্য রাখবেন যেন গ্লাসে দাগ না পড়ে আলতোভাভবে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করুন। টুথপেস্ট ব্যবহার করেও চশমা পরিষ্কার করতে পারেন। প্রথমে সামান্য পরিমাণ টুথপেস্ট হাতের আঙ্গুলে নিন অথবা পরিষ্কার নরম কাপড়ে নিন এখন আলতোভাবে ঘষুন। কিছুক্ষণ এভাবে ঘোষার পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তাহলেই চশমার গ্লাস পরিষ্কার হয়ে যাবে। পরিষ্কার কাপড় বা টিস্যু অল্প পানিতে ভিজিয়ে নিয়েও চশমা পরিষ্কার করতে পারেন।

তবে চশমার গ্লাস পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে যে বিষয়টিতে সতর্ক থাকতে হবে তা হলো পরিষ্কার করার সময় গ্লাসে যেন কোন দাগ না পড়ে। তাছাড়া পরবর্তীতে ঐ চশমা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যাবে। এজন্য অবশ্যই সতর্কতার সাথে নরম সুতি কাপড় দিয়ে আলতোভাবে পরিষ্কার করুন। আপনি যদি উপরের নিয়ম গুলো অনুসরণ করেন তাহলে নিখুঁতভাবে চশমা পরিষ্কার করতে পারবেন। এতে করে একটি চশমা দীর্ঘদিন যাবত ব্যবহার করতে পারবেন।

চশমা কে আবিষ্কার করেন

সর্বপ্রথম চশমা আবিষ্কার করেন ইতালীয় এক নাগরিক গিরোলামো সাভোনারোলা। ১৭২৭ সালে তিনি প্রথম বর্তমান সময়ের চশমার নকশা তৈরি করেন। এর আগে চোখের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধকতা দূর করতে চোখের সামনে কাচ ধরা হতো।

তবে কে সর্বপ্রথম চশমা আবিষ্কার করেছেন এই বিষয়ে সু স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। অনেকে মনে করেন ইবনু সাব্বাহ নামে এক বিজ্ঞানী চশমা আবিষ্কার করেছেন। উইকিপিডিয়া সূত্রানুসারে আমরা গিরিলামো সাভোনারোলাকে সর্বপ্রথম চশমার আবিষ্কারক বলতে পারি।

আমার অভিমত

এতক্ষণ আমরা ব্লু কাট চশমা চেনার উপায় দাম এবং উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। এর পাশাপাশি আপনাদেরকে চশমা সম্পর্কে একটা সাধারণ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ব্লু কাট লাইট নিয়ে আজও গবেষণা চলছে। ব্লু কাট চশমা নিয়ে একেক গবেষকের একেক রকম অভিমত রয়েছে।

অতিরিক্ত কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন চালানোর জন্য যে মাথা ব্যাথা করে চোখ খচখচ করা তাকে কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম বলা হয়। নীল আলোর কারণে মাথা ব্যাথা চোখের সমস্যা হয় তা নিয়ে
এখনো বিজ্ঞানীরা একমত হতে পারেননি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url