গর্ভাবস্থায় স্যালাইন খাওয়া যাবে কি

কুলেখাড়ার রস ও বীজের উপকারিতা 

আমাদের অনেকের মনেই এরকম অনেক প্রশ্ন আসে গর্ভাবস্থায় স্যালাইন খাওয়া যাবে কি? গর্ভাবস্থায় যদি স্যালাইন খাই তাহলে কি কোন ক্ষতির সম্ভাবনা আছে? তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় খাবার স্যালাইন খাওয়া যাবে কি না?






এখন আপনি জানতে চলেছেন গর্ভাবস্থায় স্যালাইন খাওয়া যাবে কি না এবং গর্ভাবস্থায় স্যালাইন খেলে আপনি কি কি উপকার পেতে পারেন। অপরদিকে এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে। সঠিক তথ্য সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।

সূচিপত্রঃ

আমরা স্যালাইন কেন খাবো

মানব শরীরে পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এজন্য পানির অপর নাম বলা হয় জীবন। বিভিন্ন কারণে আমাদের দেহে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। আর এই বাড়তি পানির চাহিদা পূরণ করতে আমরা স্যালাইন খেয়ে থাকি। স্যালাইন পানির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আমাদের দেহের লবণের ঘাটতি ও পূরণ করে থাকে।

গর্ভাবস্থায় স্যালাইন খাওয়া যাবে কি না

গর্ভাবস্থা সকল নারীর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আমরা প্রত্যেকেই নারীর গর্ভ থেকেই জন্ম নিয়েছি। গর্ভাবস্থাকালীন সময়ে একজন নারী সবচাইতে বেশি সচেতন থাকেন। এই সময় তিনি অনেক সতর্কতা অবলম্বন করে চলেন। যেমন, তার খাদ্য তালিকা, চলাফেরা ইত্যাদি। এই সময় একজন নারী কোন কিছু ঠিক মতো খেতে পারেন না।


খাবার খেতে লাগলে তার বমি বমি ভাব আসে বমিও হতে পারে। তাই শরীরের পানি ও লবণের ভারসাম্য বজায় রাখতে এই সময় খাবার স্যালাইন খেতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরের পানি শূন্যতা দূর হবে। গর্ভাবস্থায় যদি ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হয় সে ক্ষেত্রে স্যালাইন খেতে পারেন। এর ফলে আপনি শরীর দূর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

গর্ভাবস্থায় খাবার স্যালাইন খাওয়ার নিয়ম

স্যালাইন খাওয়ার নিয়ম সব ক্ষেত্রেই একই রকম থাকে। আধা লিটার বিশুদ্ধ পানিতে প্যাকেটের সবটুকু স্যালাইন ভালোভাবে মিশিয়ে খেতে হবে। যদি আপনার বাসায় খাবার স্যালাইন না থাকে তাহলে ঘরোয়া উপায়ে স্যালাইন বানিয়ে খেতে পারেন। এক মুষ্টি গুড় অথবা চিনি  এবং এক চিমটি লবণ আধা পোয়া পানিতে ভালোভাবে মিশ্রিত করে স্যালাইন বানিয়ে খেতে পারেন। এটি বিশ্বব্যাপী একটি প্রাচীন ও জনপ্রিয় পদ্ধতি। স্যালাইন খাওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।

গর্ভাবস্থায় স্যালাইন খাওয়ার উপকারিতা

  1. যাদের লো ব্লাড প্রেসার তাদের প্রেসার ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
  2. না খেতে পারার কারণে শরীর দূর্বল হয়ে পড়ে, স্যালাইন খাওয়ার ফলে শরীরের দূর্বলতা কাটে।
  3. ডায়রিয়া এবং বমির কারণে হওয়া শরীর দূর্বলতা দূর করে।
  4. পানি শূন্যতা দূর করে।
  5. শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করে ও শরীর সুস্থ রাখে।

গর্ভাবস্থায় স্যালাইন খাওয়ার অপকারিতা

যদিও স্যালাইন খাওয়ার তেমন কোন অপকারিতা নেই তবে দিনে ১-২টি স্যালাইন খাওয়াই ভালো। এর বেশি খাওয়ার প্রয়োজন মনে হলে ডাক্তারের পরামর্শনুযায়ী খেতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন যাদের হাই প্রেসার আছে তারা স্যালাইন খাওয়ার সময় সতর্ক থাকবেন কেননা স্যালাইনে থাকা লবণ রক্ত চাপ বাড়াতে সাহায্য করে। তাই যাদের শরীরে রক্ত চাপ বেশি তারা স্যালাইন খাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন।

লেখকের মন্তব্য আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনযোগ সহকারে পড়েছেন এবং একটু হলেও উপকৃত হয়েছেন। আপনি যদি উপকৃত হন তবেই আমার এই প্রচেষ্টাকে আমি সার্থক বলে মনে করব।ধন্যবাদ এতক্ষণ পর্যন্ত আমার সাথে থাকার জন্য। যদি আপনার কাছে এই আর্টিকেলটি ভালো লাগে ও উপকারি মনে হয় তাহলে আপনার বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url